মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন

বরকে আটকে রেখে অন্য যুবকের সঙ্গে বিয়ে

বরকে আটকে রেখে অন্য যুবকের সঙ্গে বিয়ে

স্বদেশ ডেস্ক: বর ও বরযাত্রী আসতে দেরি। এ অপরাধের মূল্য দিতে হয়েছে বরকে। তাদেরকে আটকে রাখা হয় কনের বাড়িতে। তারপর অন্য এক বরের গলায় মালা পরিয়ে তাকে স্বামী হিসেবে বেছে নেন এক যুবতী। এর সঙ্গে যৌতুকের বিষয় জড়িত। শুক্রবার এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজনোরের নাঙ্গলজাত গ্রামে। অভিযোগ করা হয়েছে, বর ও তার সঙ্গীদের আটক করে তাদের সঙ্গে থাকা মূল্যবান সব কিছু কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেরি করে বিয়ে করতে যাওয়া ওই বরকে এরই মধ্যে ‘লেট’ বর নাম দেয়া হয়েছে।

ওই যুবতী একই দিন স্থানীয় এক যুবককে বিয়ে করেন, যার বাড়ি তাদের বাড়ির কাছেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পুলিশের সূত্র বলছে, নাঙ্গলজাত গ্রামে ‘যথাযথ উপায়ে বিয়ের’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল লেট বর ও ওই যুবতীর। এর ৬ সপ্তাহ আগে তারা বড় এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। প্রথমবারের এই বিয়ের পর কনে তার শ্বশুরবাড়ি যান নি। ফলে তারা ‘যথাযথ রীতির’ মধ্য দিয়ে নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওযার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় বর ও যাত্রীদের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। এই বরের বাড়ি বিজনোর শহরের ধামপুরে।

 

বিয়েতে যৌতুক নিয়ে এরই মধ্যে দুই পরিবারে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দুপুর ২টায় বরযাত্রী আসার কথা থাকলেও তারা যান শেষ রাতে। ফলে যৌতুক নিয়ে যে দ্বন্দ্ব ছিল তার চেয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। আটক করা হয় বরযাত্রীদের। পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।

কনে পক্ষের অভিযোগ, বর ও তার পিতা একটি মোটরসাইকেল এবং নগদ অর্থ দাবি করেছিলেন। তাদের এই দাবি পূরণের মতো অবস্থায় নেই কনের পরিবার। কনের বাড়ি আসার আগেই এ নিয়ে বরের পরিবারের সদস্যরা দর কষাকষি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা হুমকি দেন। বলেন, যদি দাবি পূরণ করা না হয় তাহলে কনের পরিবারকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তারই মধ্যে কনের বাড়িতে অনেক রাত করে হাজির হয় বরপক্ষ।

পাল্টা অভিযোগ করেছে বরের পরিবার। তারা বলেছে, কনের পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয়রা তাদেরকে একটি রুমের ভিতর নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় কনের জন্য কেনা স্বর্ণালঙ্কার কেড়ে নেয় তারা। এ ঘটনার বিষয়ে হলদুর স্টেশনের পুলিশ কর্মকর্তা কান্ত প্রসাদ বলেছেন, দুই পরিবারই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। প্রথমে তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সমঝোতায় এসেছেন। কিন্তু বরের সঙ্গে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কনে। তবে এ নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয় নি।

বিষয়টি শনিবার উভয়ের সম্মতিতে মীমাংসা করা হয়েছে। তবে ততক্ষণে কনে তার গ্রামের অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এই বিয়ে সম্পন্ন হয় গ্রামের বয়স্কদের উপস্থিতিতে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877